News Headline

10/trending/recent

VRINDA

100%  Natural & Fresh Food (FMCG)





Type Here to Get Search Results !

আজ সুপ্রিম কোর্টের শুনানির পর জুনিয়র ডাক্তাররা হতাশ ও ক্ষুব্ধ।


West Bengal Junior Doctors' Front
Press release- 09/09/2024
আজ সুপ্রিম কোর্টের শুনানির পর আমরা যারপরনাই হতাশ ও ক্ষুব্ধ। অভয়ার ভয়াবহ ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় যে তদন্তের ভার সিবিআই নিয়েছিল, আমরা দেখতে পেলাম তাতে কোনোরকম অগ্রগতি হয়নি। বিচার পেতে এই দীর্ঘসূত্রিতার ভয় আমরা গোড়া থেকেই পাচ্ছিলাম। হাই কোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট, কলকাতা পুলিশ থেকে সিবিআই, তদন্তের হাতবদল হয়ে চলেছে, অথচ বিচার এখনো অধরা।
উপরন্তু সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকার ও সরকারের উকিল কপিল সিব্বলকে আমাদের, জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন ও কর্মবিরতিকে যেনতেন প্রকারেণ থামানোর জন্য ন্যাক্কারজনক ভূমিকা রাখতে দেখলাম আমরা। ওনারা বলছেন, জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের ফলে মানুষ মারা যাচ্ছেন, রোগী পরিষেবা ব্যহত হচ্ছে ইত্যাদি। আমরা স্পষ্ট আরো একবার মনে করিয়ে দিতে চাই, রাজ্যের প্রতিটি মেডিকাল কলেজে রোগী পরিষেবা চালু আছে, সিনিয়র ডাক্তারেরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে পরিষেবা দিচ্ছেন লাখো মানুষকে। আমরা রাজ্যবাসীকে এও মনে করিয়ে দিতে চাই, রাজ্যে মোট সরকারি হাসপাতালের সংখ্যা ২৪৫টি। এর মধ্যে মেডিকাল কলেজ মাত্র ২৬ টি। মোট জুনিয়র ডাক্তারদের সংখ্যা ৭৫০০ এর বেশি নয়। পশ্চিমবঙ্গে মোট রেজিস্টার্ড ডাক্তারের সংখ্যা প্রায় ৯৩০০০। মাত্র কয়েকটি মেডিকাল কলেজে যেখানে সিনিয়র ডাক্তাররা চিকিৎসা পরিষেবা দিচ্ছেন, সেখানকার জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতিতে আছেন বলে গোটা স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ছে এই কথাটা তাহলে কী করে বলা হচ্ছে?অর্থাৎ, সরকার মিথ্যে কথা বলছে, সুপ্রিম কোর্টে মিথ্যে বক্তব্য রাখছে। আমরা মনে করছি, এটা আমাদের আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করে আন্দোলনের প্রতি মানুষের বিপুল সমর্থনকে বিপথে চালিত করার এক ন্যক্কারজনক সরকারি প্রচেষ্টা বই কিছু নয়। আমরা সরকারি কৌঁসুলি কপিল সিব্বল এবং স্বাস্থ্যদফতর তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে ধিক্কার জানাচ্ছি সুপ্রিম কোর্টকেও বিপথে চালিত করার এই ঘৃণ্য প্রচেষ্টার জন্য। আমরা সরকার তথা সুপ্রিম কোর্টকে মনে করিয়ে দিতে চাই, কেবল জুনিয়র ডাক্তাররা গোটা স্বাস্থ্যব্যবস্থার মূল স্তম্ভ নন, তারা শিক্ষানবীশ মাত্র। আর যদি সরকারি পরিসংখ্যানগুলিকেও আমরা সত্যি বলে মেনে নিই, যদি কেবল জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির ফলেই স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ে তাহলে তা আসলে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে যথেষ্ট সংখ্যায় সিনিয়র ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীর অভাব ও সর্বোপরি স্বাস্থ্যব্যবস্থার পরিকাঠামোগত বেহাল দশাকেই স্পষ্ট করে তোলে। এর দায় স্বাস্থ্যদফতর এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী এড়াতে পারেন না।
আমরা আরো দেখলাম, গত ২৭ আগস্টের একটি রাজনৈতিক কর্মসূচীতে হওয়া হিংসাত্মক কার্যকলাপের দায়ও কপিল সিব্বল ও রাজ্য সরকার আমাদের কাঁধে চাপালেন। আমরা স্পষ্ট মনে করিয়ে দিতে চাই, আমরা ২৬ শে আগস্টেই স্পষ্ট করেছিলাম, উক্ত রাজনৈতিক কর্মসূচীটির সাথে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই, আমরা এ'ধরণের কোনো হিংসাত্মক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রসূত কোনো কর্মসূচীকে সমর্থন করিনি, ভবিষ্যতেও করবো না। কিন্তু যেভাবে সরকার তথা তাদের আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে এই মিথ্যাচার টি করলেন, আমরা তারও তীব্র বিরোধিতা করছি, ধিক্কার জানাচ্ছি।
ঘটনার ৩০ দিন কেটে গেলেও রাজ্য সরকার এখনো আন্দোলনের মূল দাবীগুলিকে নিয়ে কোনো সদিচ্ছামূলক পদক্ষেপ নেয়নি। সমস্ত দায় সিবিআই তদন্তের উপর চাপিয়ে দিতে চাইছে। পুলিশি গাফিলতির ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ হয়নি। স্বাস্থ্য দুর্নীতির ব্যাপারে বাস্তবে কোনো পদক্ষেপ হয়নি।
সন্দীপ ঘোষ বা বিরুপাক্ষ বা অভীককে যে সাসপেন্ড করা হয়েছে সেটাও শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মত। বাস্তবত সিবিআই গ্রেফতার করার পর সন্দীপ ঘোষকে নামমাত্র শোকজ করা হয়েছে। অভীক ও বিরূপাক্ষকে সাসপেন্ড করলেও সাসপেনশনের কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি। এরকম একটি দুর্বল সাসপেনশন অর্ডার কোর্টে গেলেই প্রত্যাহৃত হয়ে যাবে; এটি বাস্তবত গণক্ষোভ প্রশমিত করার জন্য একটি আই ওয়াশ ছাড়া আমরা কিছু মনে করতে পারছি না। আমরা সুস্পষ্টভাবে রাজ্য সরকারের কাছে দাবী জানাতে চাই যে, সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কড়া ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নেয়া হোক; অভীক দে ও বিরূপাক্ষকে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে সাসপেন্ড করুক স্বাস্থ্যভবন।
আন্দোলনের প্রথম দিন থেকে সুরক্ষার প্রশ্নে কিছু দাবী আমরা রেখেছি। অন ডিউটি ডাক্তার দের জন্য আলাদা রেস্ট রুম, আলাদা বাথরুমের দাবীও আমরা জানিয়েছি। প্রতিটি রেস্ট রুম/ অন কল রুমের বাইরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাকর্মী,

সিসিটিভি, মহিলা ডাক্তারদের রেস্ট রুমের জন্য নারী সুরক্ষাকর্মীর ব্যবস্থা করা প্রয়োজন, প্রয়োজন ওয়ার্ড এবং ওটি রুমের বাইরেও যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার, একথাও আমরা বলেছি।
কিন্তু আমরা এটাও মনে করিয়ে দিতে চাই, আমরা যে সুরক্ষার দাবি করছি সেটা শুধু পুলিশ বাড়িয়ে, ডক্টর রুম আলাদা করে আদৌ সম্ভব নয়। সরকারি হাসপাতালগুলোতে যথাযথ রোগী পরিষেবা সুনিশ্চিত না হলে ডাক্তার-স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মধ্যে যে ব্যাপক দুর্নীতি চলছে সেটা সর্বস্তরে উপস্থিত। প্রচুর শূন্যপদ, পেরিফেরির মেডিকেল কলেজ গুলো নামেই মেডিকেল কলেজ তাতে না আছে উন্নত পরিকাঠামো না আছে স্বাস্থ্য কর্মীদের নিয়োগ। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা শুধু ডাক্তার দিয়ে চলে না। GDA থেকে টেকনিশিয়ান, নার্স থেকে ডাক্তার প্রত্যেকে এর অবিচ্ছেদ্য অংগ।
GDA বা টেকনিশিয়ান পদে দীর্ঘদিন স্থায়ী নিয়োগ পর্যাপ্ত পরিমাণে হচ্ছে না। ঠিকা কর্মী দিয়ে কাজ চলছে। এর ফলে নানা সমস্যা থাকছে
আমাদের দৈনন্দিন অভিজ্ঞতায় আমরা জানি, রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যস্থায় কোনো সঠিক রেফারেল সিস্টেম অনুসৃত হয় না । কোনো কেন্দ্রীয় রেফারাল ব্যবস্থা নেই, কলেজে বেড occupancyসহ চিকিৎসা ব্যবস্থা কে ডিজিটাল করার কোনো উদ্যোগ নেই, রোগীদের সমস্যা শোনার জন্য কোনো ফেসিলিটি ম্যানেজার আদৌ কাজ করেন না। সাধারণ মানুষ ছেড়েই দিলাম, যারা মেডিকাল কলেজগুলিতে রোগীদের রেফার করেন, তাদের কাছেও কোনো তথ্য থাকেনা যিনি রেফার্ড হচ্ছেন, তিনি আদৌ চিকিৎসা পাবেন কীনা। আজ ২৩ জন মানুষ কর্মবিরতির কারণে মারা গেছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। অথচ, যথাযথ রেফারাল সিস্টেমের অভাবে কতজন রোগীকে রোজ হয়রানি হতে হয়, কত রোগীর মৃত্যু হয় চিকিৎসা না পেয়ে, সরকার তার কোনো তথ্য দেয় না, আদৌ তারা ভাবিত বলেই আমাদের মনে হচ্ছে না। চারিদিকে সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরী করা হচ্ছে, খোলা হচ্ছে অগুন্তি মেডিকাল কলেজ। অথচ এই প্রতিটি জায়গাতে চিকিৎসা পরিষেবার অবস্থা তথৈবচ। যথেষ্ট সংখ্যাতে ডাক্তার নেই, নেই স্থায়ী নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী। অধিকাংশ জেলার নতুন মেডিকাল কলেজগুলিতে সিনিয়র ফ্যাকাল্টি সংখ্যায় নামমাত্র, আধুনিক রোগপরীক্ষা সহ অন্যান্য পরিকাঠামোর অবস্থা তথৈবচ৷ আমরা মনে করিয়ে দিতে চাই, শুধু গালভরা নাম ও বড় বড় ভবন তৈরী করলেই স্বাস্থ্য পরিষেবা সুনিশ্চিত করা যায় না, তার জন্য প্রয়োজন হয় যথার্থ স্বাস্থ্যনীতি, প্রয়োজন হয় যথাযথ কর্মী নিয়োগের তথা রোগী পরিষেবা দিতে সরকারি সদিচ্ছার। অত্যন্ত দু:খজনক হলেও আমরা সেরকম কোনো ছবি দেখতে পাচ্ছি না। আমরা এও প্রশ্ন তুলছি, যে যুবককে একটা সিটিস্ক্যান করানোর জন্য কোন্নগর থেকে কলকাতা অবধি ৩০ কিমি ছুটে আসতে হলো গুরুতর জখম অবস্থায়, কেন তার নিকটবর্তী সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে ন্যূণতম সিটিস্ক্যানের ব্যবস্থাও নেই! যদি সত্যিই সরকার জেলার গরীব মানুষের চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে এতই ভাবিত, তাহলে জেলার হাসপাতাল ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র গুলিকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে না কেন! সিভিক ডাক্তার-সিভিক নার্স নিয়োগের ভাঁওতাবাজি নয়, আমরা চাই জেলায় জেলায় যথাযথ সরকারি স্বাস্থ্য পরিকাঠামো।
এই পুরো পর্যায়ে স্বাস্থ্যভবন ক্রমাগত ন্যক্কারজনক ভূমিকা নিয়ে চলেছে। আমাদের কাছে আজ এটা স্পষ্ট, এই যে দুষ্টচক্রটি এতদিন রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থায় ছড়ি ঘোরাচ্ছিল, পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি, কলেজে কলেজে থ্রেটের রাজনীতি চালাচ্ছিল, এ'র দায় স্বাস্থ্যদফতরের উচ্চপদস্থ কর্তারা এড়াতে পারেন না। এই পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতির জন্য ক্রমাগত বিঘ্নিত হয়েছে রোগী পরিষেবা। উপরন্তু এও আমাদের কাছে প্রকাশিত হয়েছে যে সেমিনার রুম সংলগ্ন ঘরগুলিকে ভাঙ্গার অর্ডারেও সই করেছিলেন স্বাস্থ্যসচিব, DME এবং DHS। আমরা তাই স্বাস্থ্যসচিব, DME এবং DHS এরও অপসারণের দাবী করছি, দাবী করছি এদেরকেও সিবিআই তদন্তের আওতায় আনার। স্বাস্থ্যভবনের এই পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কী বক্তব্য আমরা তাও জানতে চাই; এখনো পর্যন্ত তাঁর কোনো বক্তব্য আমরা পাই নি কেন, জানতে চাই
তাও।
আমরা ভেবেছিলাম আমাদের আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা অভয়ার বিচারের সাথে সাথে স্বাস্থ্যদফতরের ঘুঘুর বাসা ভেঙ্গে চালু স্বাস্থ্যব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করতে পারবো, প্রকৃত অর্থে তাকে জনমুখী করে তুলতে পারব। কিন্তু আজ সুপ্রিমকোর্টে কপিল সিব্বল এবং সরকার আন্দোলনের অভিমুখকে জনবিরোধী বলে দাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এমতাবস্থায় আমরা আমাদের ৫ দফা দাবী সহ উপরোক্ত দাবী গুলোকেও সামনে রেখে, সাধারণ মানুষকে যথাযথ

চিকিৎসা পরিষেবা দিতে উপযোগী এক যথাযথ স্বাস্থ্যব্যবস্থার জন্য আগামীকাল বেলা ১ টা থেকে করুণাময়ী থেকে স্বাস্থ্যভবন অভিযানের ডাক দিচ্ছি।
আমরা মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর প্রেস বিবৃতি থেকে জানতে পারলাম, সিপি নাকি তার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিতে এসেছিলেন। তিনি নিজে দায় স্বীকার করেছেন তদন্তের গাফিলতির। তারপরেও কেন তার পদত্যাগ জমা নেওয়া হয়নি? পুলিশের কাজ কী শুধুই পুজোয় ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা? এদের ভরসাতেই কি মেয়েরা কাজ করতে যাবেন? অবিলম্বে তাঁকে কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক। অভয়ার পরিজনকে টাকা দিতে চাওয়া ডিসি নর্থকে তদন্তের আওতায় আনা হোক। মিথ্যে কথা বলে অভীক দে কে আড়াল করতে চেয়েছেন ডিসি সেন্ট্রাল। তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হোক
আজকে আর জি করের মতো অবস্থা আমরা চাইনা ভবিষ্যতে কোন মেডিকেল কলেজে হোক। কিন্তু ৯ আগস্টের ঘটনা কোন বিক্ষিপ্ত ঘটনা নয়, কলেজে কলেজে চলতে থাকা থ্রেটের রাজনীতির ultimate এবং জঘণ্য পরিণতি। প্রতিটি কলেজে ইউনিয়ন ও আর ডি এ'র নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কলেজ কাউন্সিল ও রোগী কল্যাণ সমিতিতে অংশীদারিত্ব সুনিশ্চিত করা হোক। এর জন্য সব কলেজে সুস্থ গণতান্ত্রিক ভাবে ছাত্রছাত্রী ও জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে নির্বাচন করাক সরকার।
আমাদের আন্দোলনের পাশে যেভাবে বাংলার আপামর মানুষ এসে দাঁড়িয়েছেন, যেভাবে রাতের পর রাত দখল করেছেন, রাজপথে গড়েছেন মানবশৃঙ্খল, তাকে আমরা কুর্ণিশ জানাই। অন্যদিকে যেভাবে নৈহাটি থেকে বারাসাত, মাথাভাঙ্গা থেকে কাঁচরাপাড়া, সাধারণ মানুষের উপর শাসকের গুন্ডাবাহিনী ও উর্দিধারী পুলিশের আক্রমণ নেমে এসেছে, তাকে আমরা তীব্র ধিক্কার জানাই। আমাদের আন্দোলন এক সার্বিক আন্দোলন, সাধারণ মানুষের আন্দোলন, সরকার বা সুপ্রীম কোর্ট, তারা যেন এ'কথা ভুলে না যান। সাধারণ মানুষের উপর এহেন ঘৃণ্য আক্রমণ আমাদের উপরেও আক্রমণ হিসেবেই আমরা দেখছি, দাবী তুলছি অবিলম্বে এই ঘটনাগুলির সাথে জড়িত সকলকে শাস্তি দেওয়ার।
আজ মুখ্যমন্ত্রী সব ভুলে মানুষকে উৎসবে ফিরতে বলেছেন। আমরা তার এই বক্তব্যের প্রতি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। অভয়ার বিচারহীন শবের উপর দাঁড়িয়ে উৎসবের ডাক দেওয়া ন্যক্কারজনক নির্লজ্জতার পরিচায়ক। বিচার না পাওয়া অবধি উৎসবে ফেরার আবেদন অশ্লীল, অমানবিক। মুখ্যমন্ত্রীকে অবিলম্বে এই বক্তব্য ফিরিয়ে নিতে হবে। পাশাপাশি মাননীয়া যেভাবে অভয়ার পরিজনকেও মিথ্যাবাদী বলে অভিহিত করতে চেয়েছেন, আমরা তাকেও তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি। মৃতার মা বাবা তার মেয়ের ন্যায় বিচারের দাবির আন্দোলনের দায়িত্ব আমাদের হাত তুলে দিয়ে গেছেন, তাই এর শেষ না দেখে আমরা আন্দোলন থেকে পিছু হটতে পারিনা।
আমরা সরকারের উদ্দেশ্যে স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই, আগামীকাল ৫টার মধ্যে রাজ্য সরকার পদক্ষেপ করে আমাদের দাবীগুলিকে মিটিয়ে দিক। তবেই আমরা কর্মবিরতি প্রসঙ্গে ওনার আবেদন নিয়ে ভেবে দেখতে পারি । অন্যথায় আমরা বুঝব, সরকার আদৌ চান না অচলাবস্থা কাটুক। সেক্ষেত্রে রাজ্য জুড়ে যে পরিস্থিতি তৈরী হচ্ছে, তার জন্য আমরা সরকারকেই দায়ী করতে বাধ্য হবো।

Post a Comment

0 Comments

IPL 2024 LIVE

CRICKET- LIVE SCORE